সোনিয়া বাংলাদেশের গর্ব; তারানা
ঢাকা : মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির সম্প্রতি জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত টেকনোলজি ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য হয়েছেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে জাতিসংঘে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ সাফল্যের জন্য সোনিয়াকে বাংলাদেশের গর্ব বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের টেকনোলজি ব্যাংকে গভর্নিং কাউন্সিলে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের গর্ব Sonia Bashir Kabir কে অভিনন্দন’। প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তোমার হাত ধরে আরও এগিয়ে যাক বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত একই সাথে বাংলাদেশের নারীরা। শুভ কামনা নিরন্তর’। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর (এলডিসি) প্রতিনিধি হিসেবে দেশের এ প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বকে প্রযুক্তি বিষয়ক ১২ সদস্যের এই কাউন্সিলে মনোনীত করেন। এ কাউন্সিল বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কৌশলের সহায়তা এবং মেধাস্বত্বের উন্নয়নে কাজ করবে। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতিসংঘের পরিচালনায় দক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত প্যানেলটি গবেষণার কাজ করবেন। সোনিয়া বাংলাদেশের গর্ব; তারানা প্যানেলটিকে দুটি ইউনিটে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যার একটি ইউনিট টেকনোলজি ব্যাংক কাজ করবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে এবং অন্যাটি হচ্ছে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ব্যাংক যারা কাজ করবে মেধাস্বত্ব নিয়ে। টেকনোলজি ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ইউনাইটেড ন্যাশনস ইউনিভার্সিটিতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করারও পরামর্শ দিয়েছে প্যানেল। এতে করে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিভাবান যে কেউ তার কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে টেকনোলজি ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে। টেকনোলজি ব্যাংকের জন্য গঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের কেউ জাতিসংঘ থেকে কোনো ধরনের সন্মানী, বেতন কিংবা ভাতা পাবেন না। শুধুমাত্র টেকনোলজি ব্যাংকের কাজের জন্য ভ্রমণ, থাকা, খাওয়াসহ অন্যান্য খরচাদি জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী প্রদান করা হবে। এছাড়া কাউন্সিলের কর্মপদ্ধতিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ ব্যাপারে সোনিয়া বশিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে বাংলামেইলকে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দনে আমি আনন্দিত। আমি দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ভিষণ ২০২১ সফল করতে আমি আমার সামর্থ্যের পুরোটাই দেয়ার চেষ্টা করবো।’ উল্লেখ্য, ২৫ জুন অনুষ্ঠিত বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন সোনিয়া বশির কবির। তার নেতৃত্বে ‘মেম্বারস ফার্স্ট’ স্লোগানে গড়া দলটির নাম ‘দ্য চেঞ্জ মেকার্স’।