নতুন তালেবান নেতার প্রতি আল কায়দার আনুগত্য
অনলাইনে পোস্ট করা একটি অডিও বার্তায় আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি বলেন, “জিহাদের জন্য সংগঠিত হওয়া আল কায়দার নেতা হিসেবে আমি আরো একবার (আফগান তালেবানদের নেতার প্রতি) আমার আনুগত্য প্রকাশ করছি।” “ওসামার দেখানো পথে আমি ইসলামিক আমিরাতকে সমর্থনের জন্য মুসলিম জাহানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে ওই অডিওর খবর প্রকাশ করা হয়। যদিও রয়টার্সের পক্ষ থেকে ১৪ মিনিটের ওই অডিও বার্তাটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তালেবানরা। পরে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী ২০১১ সালে পাকিস্তানে আত্মগোপনে থাকা আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। নতুন তালেবান নেতার প্রতি আল কায়দার আনুগত্য তারপর জঙ্গি দলটির নেতা নির্বাচিত হন জাওয়াহিরি। তিনি আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়। গত মাসে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সাবেক আফগান তালেবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর নিহত হন। মনসুর নিহত হওয়ার চারদিন পর আখুন্দজাদাকে গোষ্ঠীটির প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পঞ্চাশোর্ধ আখুন্দজাদা মনসুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তার দুই উপপ্রধানের একজন ছিলেন। আফগানিস্তানে তালেবানের পাঁচ বছরব্যাপী শাসনকালে আখুন্দজাদা দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক ছিলেন। ওই সময় তালেবানের দেওয়া অনেকগুলো কঠোর ফতোয়া তার তরফ থেকেই এসেছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তালেবানের সাবেক প্রধানদের মতো আখুন্দজাদাও আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কান্দাহার থেকেই এসেছেন। মোল্লা মনসুর ও তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরও কান্দাহারেই লোক ছিলেন। ওমর ২০১৩ সালে অসুখে ভুগে মারা যান। তালেবান বিশেষজ্ঞ রহিমুল্লাহ ইউসুফজাইয়ের তথ্যানুযায়ী, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময় আখুন্দজাদা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ওমর ও মনসুরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত আফগান মুজাহিদের হয়ে লড়াই করে ‘নাম’ করেননি।